প্রিয় টেলিটক বাংলাদেশ,
আমি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষী প্রসাদপূর্ব ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা । অত্র ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ গ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করে। তাই অত্র এলাকাগুলোতে উন্নয়নের ছোয়া তেমন লাগেনি। এখনও এখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ও পুরো ইউনিয়নে পাকা রাস্তা নেই। এই বিশাল জনপদ ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়ান নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হয়। প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে দু-একটি করে ইন্ডিয়ান সিম ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন দেশের টাকা বাহিরে চলে যাচ্ছে অন্য দিকে দেশের নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অত্র এলাকার বাসিন্দা।
প্রিয় টেলিটক পরিবার,
এতকিছু বলার কারণ হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে অত্র ইউনিয়নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ! যেমন-এখানে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা, হযরত শাহজালাল (রহ) এর সফর সঙ্গীর বসবাস ও একসময়ের সেরা প্রাকৃতিক সম্পদের খনি বড়চাতল পেট্টোলবাংলা। বর্তমানে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী, নানখা চা বাগান, লিচু বাগান, সুপারি বাগান, পেয়ারা বাগান, বাংলা খাসিয়াপুঞ্জিসহ অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে অত্র ইউনিয়নে। প্রতিদিন দেশের দুর-দুরান্ত থেকে অনেক পর্যটক ভ্রমন করেন এই এলাকায়। দূর্ভাগ্যবশত এখানকার এলাকাগুলোতে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সমস্যা হচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এখানে পোস্ট করার একমাত্র উদ্দেশ্য টেলিটক যেহেতু রাষ্ট্রীয় একটি সিম কোম্পানি তাই অত্র এলাকার মানুষদের সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় দনা বাজার, কানাইঘাট, সিলেটের আশেপাশে একটি টেলিটক টাওয়ার নির্মান করে দিলে অত্র এলাকার মানুষ একদিকে যেমন দেশীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে ওপর দিকে দেশের টাকা দেশে থাকবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করবে বলে মনে করি।
নিবেদক
অত্র এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের পক্ষে
মো: মতিউর রহমান
